শনিবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৮

ঘরে বসেই বাংলা ভাষায় শিখুন কম্পিউটার

Desktop Computer Image
কম্পিউটার কি?
কম্পিউটার শব্দটি গ্রীক শব্দ থেকে এসেছে। মূলত শব্দ থেকে কম্পিউটার শব্দের উৎপত্তি। সংক্ষেপে বলা যায়, কম্পিউটার একটি ইলেকট্রনিক গণনাকারী যন্ত্র। এর দ্বারা গাণিতিক, যৌক্তিক ও সিদ্ধান্তমূলক কাজ সম্পাদন করা যায়। এটি এমন একটি যন্ত্র, যার মধ্যে ডাটা ইনপুট করলে নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যায়।
অর্থাৎ যার মধ্যে গাণিতিক, যৌক্তিক এবং সিদ্ধান্তমূলক কোন তথ্য প্রেরণ করলে সেটি প্রক্রিয়াকরণ হওয়ার পর ফলাফল হিসেবে পাওয়া যায়, তাকেই কম্পিউটার বলে।

কম্পিউটারের ইতিহাস:
আদিকাল হতে মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে গণনা কাজ সম্পাদন করতো। কালের বিবর্তনে মানুষের চিন্তাশক্তি পরিবর্তনের ফলপ্রসূতিতে ক্রমাগত গবেষণা ও উদ্ভাবনের ফসলই হলো কম্পিউটার। চীন দেশে প্রথম গণনাকারী যন্ত্র হিসেবে তৈরি হয় এ্যাবাকাস। পরবর্তীতে এই গণনাকারী যন্ত্রের ব্যাপক পরিবর্তন সাধন হয়ে আধুনিক কম্পিউটারের রূপরেখা তৈরি করেন ব্রিটিশ গণিত বিশারদ চার্লস ব্যাবেজ। তিনি প্রথম ১৮৩৩ সালে অ্যানালিটিক্যাল নামক গণনাকারী যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন। কিন্তু অর্থনৈতিক অভাবের কারণে তার এ প্রচেষ্টা সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। তার এ পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে আজকের আধুনিক কম্পিউটার।  তাই চার্লস ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়। বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন।

কম্পিউটার প্রজন্ম:
প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার
দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার
তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটার
চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটার
পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটার

কম্পিউটারের ধরণ:
ডাটা প্রসেসিং এর ওপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়:-
) অ্যানালগ কম্পিউটার
) ডিজিটাল কম্পিউটার
) হাইব্রিড কম্পিউটার
আকার, ক্ষমতা ইত্যাদির ভিত্তি করে কম্পিউটারকে ৪ ভাগে ভাগ করা যায়:-
) সুপার কম্পিউটার
) মেইনফ্রেম কম্পিউটার
) মিনি কম্পিউটার
) মাইক্রো কম্পিউটার

কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার:
যে সমস্ত উপাদানের সমন্বয়ে কম্পিউটার তৈরি এবং যা স্পর্শ করা যায় সেই সকল উপাদানকে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার বলে। যেমন: কিবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার, ডিস্ক ড্রাইভ, মনিটর এবং সিপিইউ এর যন্ত্রাংশসমূহের সমষ্টি হলো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার।

মাই্ক্রোকম্পিউটার এর বিভিন্ন অংশ:
মাইক্রোপ্রসেসরের ওপর ভিত্তি করে বহুল প্রচলিত মাই্ক্রোকম্পিউটারকে ২ শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:-
) অ্যাপল কম্পিউটার এবং
) আইবিএম বা আইবিএম কম্পাটিবল মাই্ক্রোকম্পিউটার।

গঠন ও আকৃতিভেদে মাই্ক্রোকম্পিউটারকে আবার কয়েক শ্রেণিতে ভাগ করা যায়:
) ডেস্কটপ কম্পিউটার
) ল্যাপটপ কম্পিউটার
) পামটপ কম্পিউটার
) নোটবুক কম্পিউটার
) পকেট কম্পিউটার

মাইক্রোকম্পিউটারের বিভিন্ন অংশ:
ক) প্রধান মেমরি (Main Memory)
খ) গাণিতিক যৌক্তিক ইউনিট (Arithmetic Logic or ALU)
গ) ইনপুট ডিভাইস (Input Device)
ঘ) আউটপুট ডিভাইস (Output Device)
ঙ) নিয়ন্ত্রণ ইউনিট (Control Unit)

সফ্টওয়্যার কি?
কম্পিউটার চালানোর সময় কম্পিউটারকে যে সমস্ত নির্দেশ প্রদান করা হয়, যা ছোঁয়া যায় না, সে সকল নির্দেশনার সমষ্টিকে সফ্টওয়্যার বলে।

সফ্টওয়্যার এর প্রকারভেদ:
সফ্টওয়্যার মূলত দুই ধরণের:
ক) সিস্টেম সফ্টওয়্যার
খ) অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার

অ্যাপ্লিকেশন সফ্টওয়্যার এর প্রকারভেদ:-
ক) কাস্টমাইজড সফ্টওয়্যার
খ) মাল্টিমিডিয়া সফ্টওয়্যার
গ) গ্রাফিক্যাল সফ্টওয়্যার
ঘ) ইন্টারনেট-বেইজড সফ্টওয়্যার ইত্যাদি।

ফার্মওয়্যার কি?
এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যাকে কম্পিউটার তৈরির সময় কম্পিউটারের মেমরি রম -এ স্থায়ীভাবে সংযোজন করে দেয়া হয়, যা ব্যবহারকারী কোনরূপ পরিবর্তন বা সংশোধনের করতে পারে না। যেমন- কম্পিউটার চালু করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মনিটরে প্রদর্শিত তথ্যই হচ্ছে ফার্মওয়্যারের আউটপুট। ফার্মওয়্যার যে কাজগুলো করে থাকে-
ক) কম্পিউটার মেমরি প্রদর্শন করে
খ) নির্দেশনাবলী বা ডাটা লোড করে
গ) প্রোগ্রাম রান করে

সিস্টেম সফ্টওয়্যার কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা:
কম্পিউটারের সফ্টওয়্যার ও হার্ডওয়্যারকে কার্যকর করার নিমিত্তে ব্যবহৃত সাহায্যকারী প্রোগ্রামসমূহকে সিস্টেম সফ্টওয়্যার বলে। এর দ্বারা কম্পিউটারের সফ্টওয়্যার ও হার্ডওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ, তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা করা হয় অর্থাৎ ব্যবহারকারী ও কম্পিউটারের সাথে সম্পর্ক সৃষ্টি করে।

সিস্টেম সফ্টওয়্যার এর প্রকারভেদ:
ক) অপারেটিং সিস্টেম সফ্টওয়্যার
খ) ইউটিলিটি সফ্টওয়্যার
গ) ট্রান্সলেটর বা অনুবাদক সফ্টওয়্যার
ঘ) গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস সফ্টওয়্যার

অপারেটিং সিস্টেম সফ্টওয়্যার কি এবং এর প্রয়োজনীয়তা:
মূলত: অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে সচল করে। অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কোন কম্পিউটারে কাজ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন ধরণের অপারেটিং সিস্টেম নিম্নে বর্ণিত হলো:-
ক) ডস
খ) লিনাক্স
গ) উইন্ডোজ ৯৫
ঘ) উইন্ডোজ ৯৮
ঙ) উইন্ডোজ ২০০০
চ) উইন্ডোজ মিলেনিয়াম
ছ) উইন্ডোজ এক্সপি
জ) উইন্ডোজ ভিসতা
ঝ) উইন্ডোজ ৭
ঞ) উইন্ডোজ ৮
ট) উইন্ডোজ ১০

অপারেটিং সিস্টেম এর প্রকারভেদ:
অপারেটিং সিস্টেমকে আবার দুভাগে ভাগ করা যায়:-
ক) ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেম
খ) রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম

বিভিন্নভাবে উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের প্রয়োজনে অনেক অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভব হয়েছে। ব্যাচ অপারেটিং সিস্টেমের কাজকে আর গতিশীল করার লক্ষ্যে তার অধীন আর ৬টি অপারেটিং সিস্টেম কাজ করে থাকে।
ক) ব্যাচ মোড অপারেটিং সিস্টেম
খ) রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম
গ) মাল্টি প্রোগ্রামিং অপারেটিং সিস্টেম
ঘ) টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম
ঙ) ভাচুৃয়াল স্টোরেজ অপারেটিং সিস্টেম
চ) মাল্টি প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন